জাফর আহমাদ | বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
“আমরা কেবলমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।”(সুরা ফাতিহা: ৪) ‘আমরা একমাত্র তোমারই দাসত্ব করি’। আরবী ইবাদত শব্দটি আরবী ভাষায় তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। (১) উপাসনা, (২) আনুগত্য ও হুকুম মেনে চলা এবং (৩) বন্দেগী ও দাসত্ব করা। এখানে একই সাথে এই তিনটি অর্থই প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থাৎ আমরা তোমার উপাসনা করি, তোমার আনুগত্য করি এবং তোমার বন্দেগী ও দাসত্ব বা গোলামী করি। আর আমরা তোমার সাথে এ সম্পর্কগুলো রাখি কেবল এখানেই কথা শেষ নয় বরং এ সম্পর্কগুলো একমাত্র কেবলমাত্র তোমারই সাথে রাখি। এই তিনটি অর্থের মধ্যে কোন একটি অর্থেও অন্য কেউ আমাদের মাবুদ নয়। ‘এবং আমরা একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই’। অর্থাৎ তোমার সাথে আমাদের সম্পর্ক কেবল ইবাদাতের নয় বরং আমাদের সাহায্য প্রার্থনার সম্পর্কও একমাত্র তোমারই সাথে রযেছে। আমরা জানি তুমিই সমগ্র বিশ্ব জাহানের রব। সমস্ত শক্তি তোমারই হাতে কেন্দ্রীভূত। তুমি একাই যাবতীয় নিয়ামত ও অনুগ্রহের অধিকারী। তাই আমাদের অভাব ও প্রয়োজন পূরণের জন্য আমরা একমাত্র তোমারই দুয়ারে ধর্ণা দেই। তোমারই সামনে নিজেদের সুপর্দ করে দেই এবং তোমারই সাহায্যের ওপর নির্ভর করি। এ জন্য আমাদের এই আবেদন নিয়ে আমরা তোমার দুয়ারে হাজির হয়েছি।
মানুষ অজ্ঞতা ও মুর্খতার কারণে যে সমস্ত অলীক, কাল্পনিক ও অক্ষম সত্তাদের উপাস্য ও প্রভু গণ্য করে তাদের কাছে দৌঁড়ে যায়, অথচ তারা তার কোন আবেদন নিবেদন শুনতে পায় না। এবং আবেদনের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও তাদের নেই। আল্লাহ গভীর ও প্রখর দৃষ্টি সম্পন্ন। তিনি তার বান্দাদের কার্যাবলী, সংকল্প ইচ্ছা পুরোপুরি ভালোভাবেই জানেন। কারণ তিনি বাছিরুম বিল ইবাদ। তিনি লাতিফ বা সুক্ষ্মদর্শী। আল্লাহ তা’আলা বলেন (আর লোকমান বলেছিল)“হে পুত্র!
কোন জিনিষ যদি সরিষার দানা পরিমানও হয় এবং তা লুকিয়ে থাকে পাথরের মধ্যে, আকাশে বা পৃথিবীতে কোথাও, তাহলে আল্লাহ তা বের করে নিয়ে আসবেন। তিনি সুক্ষ্মদর্শী এবং সবকিছু জানেন।” (সুরা লুকমান ১৬) “দৃষ্টি শক্তি তাঁকে দেখতে অক্ষম কিন্তু তিনি দৃষ্টিকে আয়ত্ব করে নেন। তিনি সূক্ষ্মদর্শী ও সর্বজ্ঞ।”(আন’আম ঃ ১০৩) আল্লাহর জ্ঞান ও তাঁর পাকড়াও-এর বাইরে কেউ যেতে পারে না। পাথরের মধ্যে ছোট্র একটি কণা আমাদের দৃষ্টির অগোচরে থাকতে পারে কিন্তু তাঁর কাছে তা সুষ্পষ্ট। আকাশ মন্ডলে একটি ক্ষুদ্রতম কণিকা আমাদের থেকে বহু দুরবর্তী হতে পারে কিন্তু তা আল্লাহর বহু নিকটতর। ভূমির বহু নিম্নস্তরে পতিত কোন জিনিষ আমাদের কাছে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। কিন্তু তাঁর কাছে তা রয়েছে উজ্জল আলোর মত।
কাজেই আমরা এমন কোথাও এমন কোন অবস্থায়ও এমন কোন সৎ বা অসৎ কাজ করতে পারি না যা আল্লাহর অগোচরে থেকে যায়। তিনি কেবল তা জানেন তাই নয় বরং যখন হিসেব-নিকেশের সময় আসবে তখন তিনি আমাদের প্রত্যেকটি কাজের ও নড়াচড়ার রেকর্ড সামনে নিয়ে আসবেন। “আর হে নবী! আমার বান্দা যদি তোমার কাছে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে, তাহলে তাদেরকে বলে দাও, আমি তাদের কাছেই আছি। যে আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি এবং জবাব দেই, কাজেই তাদের আমার আহবানে সাড়া দেয়া এবং আমার ওপর ঈমান আনা উচিত, এ কথা তুমি তাদের শুনিয়ে দাও, হয়তো সত্য-সরল পথের সন্ধান পাবে।”(সুরা বাকারা ঃ ১৮৬)
আল্লাহ তা’আলাই প্রকৃত ও উত্তম রিযিকদাতা।
পৃথিবীতে রিযিকদানের পরোক্ষ মাধ্যম যে বা যাই হোক না কেন তাদের সবার চেয়ে উত্তম রিযিকদাতা হলেন আল্লাহ তা’আলা। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর যে সময় তারা ব্যবসায় ও খেল তামাশার উপকরণ দেখলো তখন তারা তোমাকে দাঁড়ান অবস্থায় রেখে সে দিকে দৌঁড়ে গেল। তাদের বলো, আল্লাহর কাছে যা আছে তা খেল তামাশা ও ব্যবসায়ের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ট রিযিকদাতা।” (সুরা জুময়া ঃ ১১) কুরআন মজীদের বহু সংখ্যকস্থানে এ ধরনের কথা বলা হয়েছে। কোথাও আল্লাহ তা’আলাকে আহসানুল খালিকিন ‘সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা’, কোথাও খায়রুল গাফিরিন ‘সর্বোত্তম ক্ষমাকারী’, কোথাও খায়রুল হাকিমিন ‘সর্বোত্তম বিচারক’, খায়রুর রাহিমিন ‘সর্বোত্তম দয়ালু’, কোথাও খায়রুন নাছিরিন ‘সর্বোত্তম সাহায্যকারী’ বলা হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে সৃষ্টি বা মাখলুকের রিযিক দেয়া, সৃষ্টি করা, দয়া করা এবং সাহায্য করার যে সম্পর্ক তা রূপক বা পরোক্ষ অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং আল্লাহ তা’আলার ক্ষেত্রে প্রকৃত অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে।
অর্থাৎ দুনিয়াতে দৃশ্যত যে বা যারা তোমাদেরকে বেতন, পারিশ্রমিক বা খাদ্য দিচ্ছে বলে মনে হয়, যাদেরকে তাদের শিল্প ও কারিগরী দক্ষতা দিয়ে কিছু তৈরী করতে দেখা যায় অথবা যাদেরকেই অন্যদের অপরাধ ক্ষমা করতে, দয়া করতে এবং সাহায্য করতে দেখা যায় আল্লাহ তাদের সবার চেয়ে বড় রিযিকদাতা, বড় সৃষ্টিকর্তা, বড় দয়ালু, বড় ক্ষমাকারী এবং বড় সাহায্যকারী। আল্লাহ তা’আলাই বড় রিযিকদাতা তার বাস্তব প্রমাণ আমরা দেখতে পাই যখন অনাবৃষ্টি বা অতিবৃষ্টি শুরু হয়। মাঠের পর মাঠ বিরাণভূমিতে পরিণত হয়, তখন কোন সৃষ্টির পক্ষে তার মোকাবেলা করার ক্ষমতা হয় না।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,“তিনিই তো তোমাদের নিদর্শন দেখান এবং তোমাদের জন্য আসমান থেকে রিযিক নাযিল করেন (কিন্তু এসব নিদর্শন দেখে) কেবল তারাই শিক্ষা গ্রহণ করে যারা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী (সুতরাং হে প্রত্যাবর্তনকারীরা) দীনকে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করে তাঁকেই ডাকো, তোমাদের এ কাজ কাফেরদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন।”(সুরা মুমিন ঃ ১৩) এখানে রিযিক নাযিল মানে বৃষ্টিপাত। কেননা মানুষ এ পৃথিবীতে যত প্রকার রিযিক লাভ করে তা সবই বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে। আল্লাহ তা’আলা তাঁর অসংখ্য নিদর্শনসমুহের মধ্য থেকে এ একটি মাত্র নিদর্শনের কথা ধরে তুলে এ মর্মে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে, তোমরা যদি কেবল এ একটি জিনিষের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করো তাহলে বুঝতে পারবে, প্রকৃত রিযিকদাতা কেবলমাত্র আল্লাহ তা’আলা, সেটিই বাস্তব ও সত্য।
আল্লাহ তায়ালা বান্দাহর এত কাছাকাছি অবস্থান করেন যে, কোন প্রকার মাধ্যম ও সুপারিশ ছাড়াই বান্দাহ সরাসরি সর্বত্র ও সবসময় তাঁর কাছে আবেদন ও নিবেদন পেশ করতে পারে। আল্লাহ তা’আলাই একমাত্র ওহাব বা প্রকৃত দাতা। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কিছু কিছু বিষয় মনকে দারুনভাবে পীড়া দেয়। এর মধ্যে একটি হলো, কিছু কিছু মূর্খ মানুষ সেই প্রকৃত দাতা আল্লাহ তা’আলাকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি মানুষের দরবারে সন্তান কামনা করে থাকে। খুব ভাল করে মনে রাখা প্রয়োজন এ ধরনের আচরণ সুস্পষ্ট শিরকের অন্তর্ভূক্ত। সন্তান দেয়ার মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। হযরত ইবরাহিম (আ:) শেষ বয়সে এসে আল্লাহর কাছে বলছেন ,“আমি আমার রবের দিকে যাচ্ছি, তিনিই আমাকে পথ দেখাবেন। হে পরোয়ারদিগার! আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দাও। (এ দু’আর জবাবে) আমি তাকে একটি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।”(সা-ফ্ফাত ঃ ১০০-১০১) কাজেই আমাদের প্রত্যেককে অক্ষম ও বানোয়াট খোদার দ্বারে দ্বারে মাথা ঠুকে মরার অজ্ঞতা ও মূর্খতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। একজন ব্যক্তি দুনিয়ায় জীবন যাপনের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, বস্তুগত বা অবস্তুগত যতকিছুর অভাব বা প্রয়োজন হয়, সবগুলোরই প্রকৃত দাতা একমাত্র আল্লাহ তা’আলা।
দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীর শাসনামলে জনৈক ব্যক্তি একজন ভিক্ষুককে বলল, তোমাকে দেখছি সারাজীবন শুধু ভিক্ষা করে ফিরছো। ভিক্ষুকটি বললো, এ ছাড়া উপায় কি বলুন, মানুষ যে ভিক্ষা দেয় তা তো একদিনেই খরচ হয়ে যায়। লোকটি বললো, তুমি বাদশাহ জাহাঙ্গীরের কাছে যাও, তিনি তোমাকে এতটাই দিবেন যে, তোমাকে আর ভিক্ষা করতে হবে না।
লোকটির কথা মতো ভিক্ষুক বাদশাহ জাহাঙ্গীরের দরবারে উপস্থিত হলো। দরবারের কর্মচারীগণ বললো, বাদশাহ মসজিদে আছেন। ভিক্ষুক মসজিদের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলেন, বাদশাহ তার দু’টো হাত প্রসারিত করে অন্য এক রাজাধিরাজের কাছে ভিক্ষা চাইছেন এবং কান্নাকাটি করে বুক ভাসাচ্ছেন। ভিক্ষুকের মনের চক্ষু খুলে গেলো। সে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো, পেছন থেকে বাদশাহ ডাকলেন এবং বললেন, তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি একজন ভিক্ষুক এবং আমার কাছে কিছু চাইতে এসেছিলে, কিন্তু কোন কিছু না চেয়ে চলে যাচ্ছো কেন? ভিক্ষুক বললো, জি¦, জাহাপনা আমি আপনার কাছে কিছু চাইতেই এসেছিলাম। কিন্তু আমি দেখলাম আপনি দু’হাত প্রসারিত করে অন্য কোন এক মহান মালিকের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছেন। আমার মনের চক্ষু খুলে গেছে। আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে আর ভিক্ষা করবো না। বরং আপনি যেই মহান মালিকের কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা করেন, আজ থেকে আমি আমার সেই মুল মালিকের কাছেই চাইবো এবং তাঁর কাছেই প্রার্থনা করবো।
আল্লাহ তা’আলা মানুষের বিপদের বন্ধু। কারণ তিনি ওয়াকীল বা মহাপ্রতিনিধি, তত্বাবধায়ক। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ“ আর যাদেরকে লোকেরা বললো ঃ “তোমাদের বিরুদ্ধে বিরাট সেনা সমাবেশ ঘটেছে। তাদেরকে ভয় করো।” তা শুনে তাদের ঈমান আরো বেড়ে গেছে এবং তারা জবাবে বলেছে ঃ “আমাদের জন্য আল্লাহ যতেষ্ট এবং তিনি সবচেয়ে ভালো তত্বাবধায়ক।” (ইমরান ঃ ১৭৩) এ তো আল্লাহ তোমাদের রব! তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই। সবকিছুর তিনিই সৃষ্টা। কাজেই তাঁর বন্দেগী করো। তিনি সবকিছুর তত্বাবধায়ক।”( আনয়াম ১০২) ওহোদ থেকে ফেরার পথে আবু সুফিয়ান মুসলমানদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে গিয়েছিল, আগামী বছর বদর প্রান্তরে আমাদের সাথে তোমাদের আবার মোকাবিলা হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় এগিয়ে এলে আর তার সাহসে কুলালো না। তাই সে মান বাঁচাবার জন্য একটি কৌশল অবলম্বন করলো। গোপনে এক ব্যক্তিকে মদীনায় পাঠিয়ে দিল। সে মদীনায় পৌঁছে মুসলমানদের মধ্যে এ খবর ছড়াতে লাগলো যে, এ বছর কুরাইশরা বিরাট প্রস্তুতি নিয়েছে।
তারা এত বড় সেনাবাহিনী তৈরী করছে যার মোকাবেলা করার সাধ্য আরবের কারো নেই। এ ঘোষনার পর রাসুলের সঃ দৃঢ়তায় মুসলমানদের ঈমান আরো বেড়ে গেল। পনেরো শত প্রাণ উৎসর্গকারী মুজাহিদ বদরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। তারা বলে উঠলো আমাদের জন্য আল্লাহই যতেষ্ট এবং তিনি সবচেয়ে ভালো তত্বাবধায়ক। ঠিকই নবী সঃ তাঁদের নিয়ে বদরে হাজির হলেন। ওদিকে আবু সুফিয়ান দু’হাজার সৈন্য নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকলো। কিন্তু দুদিন পথ চলার পর সে সাথীদের বললো, এ বছর যুদ্ধ করা সংগত হবে না।
আগামী বছর আমরা আসবো। কাজেই নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে সে ফিরে গেল। নবী সঃ আটদিন বদর প্রান্তরে অপেক্ষা করলেন। কাফেররা ফিরে গেছে এ খবর পাওয়ার পর তিনি সংগী-সাথীদের নিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন। সুতরাং বিপদের আপদে আল্লাহর ওপর ভরসা ও বিশ্বাস রাখা উচিত। যার যা প্রয়োজন, তা মহান দাতা, মহান প্রভু, মহান তত্বাবধায়ক, মহান বন্ধু আল্লাহ তা’আলার কাছেই চাওয়া উচিত। এমনকি একটি জুতার ফিতাও যদি ছিড়ে যায়, তাও আল্লাহর কাছে চাইতে পারে। আল্লাহর একনিষ্ঠ গোলাম বা বান্দার তার চাওয়া-পাওয়ার আশ্রয়স্থল হবে তার মালিক। কোন দাস কি তার মালিক ছাড়া অন কারোর কাছে হাত পাততে পারে? কোন দাস যদি এমনটি করে বসে, তবে সে তার মালিকে বেইজ্জতি করলো।
Posted ২:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh